জগতে অনেক ধর্ম, অনেক বিশ্বাস।
কিন্তু একটি শিক্ষা সব ধর্মেই অভিন্ন—সততা।
সত্যবাদিতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বিশ্বাসযোগ্যতা—এই গুণগুলোই মানুষের আসল পরিচয়।
ইসলামে সততা:
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো।”— (সূরা তাওবা ৯:১১৯)
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই ছিলেন “আল-আমিন” – অর্থাৎ বিশ্বাসযোগ্য।
সততা তাঁর নবুয়তের পূর্বেও ছিল, যা তাঁকে মানুষের চোখে মহান করেছেন।
হিন্দু ধর্মে সততা:
“সত্যমেব জয়তে, ন অনৃতম।”— (মুন্ডক উপনিষদ)অর্থ: সত্যই জয়লাভ করে, মিথ্যা নয়।
ধর্মের মূল ভিত্তি সত্য ও ধর্মাচরণ।
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেন—অধর্ম নয়, ধর্মের পথে থেকো, সত্য বলো।
খ্রিষ্টধর্মে সততা:
“তোমাদের ‘হ্যাঁ’ যেন ‘হ্যাঁ’ হয়, ‘না’ যেন ‘না’ হয়।”— (ম্যাথিউ ৫:৩৭)
যিশু খ্রিষ্ট নিজে ছিলেন সত্যের পথপ্রদর্শক।
খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা দেয়—মিথ্যা ও প্রতারণা থেকে দূরে থাকাই প্রকৃত ঈশ্বরভক্তি।
বৌদ্ধ ধর্মে সততা:
“সত্যই হল পুণ্যের শুদ্ধ পথ।”— (ধম্মপদ)
গৌতম বুদ্ধ সবসময় সত্য বলার শিক্ষা দিয়েছেন।
“সম্যক বাক্” বা সঠিক বাক্যচর্চা বৌদ্ধ অষ্টাঙ্গিক মার্গের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সব ধর্ম, এক বার্তা: সত্যকে আঁকড়ে ধরো
ধর্ম মানে পথনির্দেশনা—জীবনের জন্য।
আর সব ধর্মের সে পথে আছে একটি শব্দ—সততা।
সততা শুধু চারিত্রিক গুণ নয়, এটা একজন মানুষের পরিচয়, সমাজের ভিত্তি, জাতির উন্নতির চাবিকাঠি।
সততা ছাড়া বিশ্বাস আসে না, আর বিশ্বাস ছাড়া শান্তি আসে না।
“ধর্মে আছেঃ ভক্তি, কর্মে আছেঃ ন্যায়। কিন্তু জীবনের মূল ভূমিকায় আছেঃ সততা।”
চলুন, আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করি—
আমরা ধর্ম যেটাই মানি না কেন,
সততার পথেই চলবো।
মিথ্যা নয়, সত্য বলবো।
প্রতারণা নয়, ন্যায়ের পাশে দাঁড়াবো।
তাহলেই পৃথিবী হবে আরও সুন্দর, শান্তিময়, আলোকিত।
#Honesty #ReligiousTeachings #PathOfTruth #Humanity #Faith #Devotion #Justice
#সততা #ধর্মীয়শিক্ষা #সত্যেরপথে #মানবতা #ঈমান #ভক্তি #ন্যায়
Post a Comment