আমরা এমন একটা যুগে বাস করছি যেখানে সবাই সবাইকে সবকিছু জানাতে চাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত মুহূর্ত, অনুভূতি, পরিকল্পনা, এমনকি দুর্বলতাও শেয়ার করে ফেলি। মনে হয়, না জানালে বুঝি আমি অস্পষ্ট বা পিছিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু... প্রশ্ন হলো – সবই কি বলা উচিত? নিজের সবকিছু কি সবাইকে দেখানো ঠিক?
উত্তরটা সহজ – না, নিজের পুরোটা প্রকাশ করতে নেই।
১. সব কথা সবার জন্য নয়
আপনার অনুভূতি, স্বপ্ন, দুর্বলতা – এগুলো একেকটা মূল্যবান সম্পদ। সবাই সেই মূল্য বুঝবে না। কেউ সম্মান করবে, কেউ আবার ব্যবহার করবে। তাই কাকে কী বলা উচিত – এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
২. অতিরিক্ত খোলামেলা হলে সম্পর্ক নষ্ট হয়
অনেকেই ভাবে, "আমি যত খোলামেলা হবো, তত ভালো বন্ধুত্ব হবে।" বাস্তবে অনেক সময় আপনার প্রকাশিত দুর্বলতা, হতাশা বা ভুল অন্যের কাছে আপনার মানহানি ডেকে আনে। সততা জরুরি, তবে সীমাবদ্ধ সততা বুদ্ধিমানের পরিচয়।
৩. সবাই আপনার মঙ্গল চায় না
এ কথা কঠিন হলেও সত্য—সবাই আপনার ভালো চায় না। কারও কারও মুখে মিষ্টি, কিন্তু মনে বিষ। আপনি যখন আপনার সব পরিকল্পনা বা দুর্বলতা প্রকাশ করেন, তখন সেটা অন্যের কাছে আপনাকে হারানোর অস্ত্র হয়ে যায়।
৪. আত্মনিয়ন্ত্রণ = আত্মসম্মান
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা মানে নিজের ওপর আস্থা রাখা।
– আপনি কী ভাবেন, কী চান, কোথায় যাচ্ছেন –
সব না বললেও আপনি সঠিক পথে থাকবেন। কারন, মৌনতা শক্তি দেয়।
৫. গোপনীয়তা মানে গোপন না থাকা নয়
নিজের কিছু অংশ সযত্নে আগলে রাখাটা নিজেকে ভালোবাসার অংশ।
সবটা খুলে দিলে আপনি অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবেন।
তাই সবটা না বলা, কিছুটা নিজের মধ্যে রাখা, নিজেকে রক্ষা করার মতোই শক্তিশালী সিদ্ধান্ত।
নিজেকে প্রকাশ করুন, তবে পরিমিতভাবে।
বিশ্বাস করুন, সব কথা, সব অনুভব সবার জন্য নয়।
নিজেকে আগলে রাখুন, নিজেকে শ্রদ্ধা করুন।
Post a Comment